নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের ছুটিতে ও আগে-পরে নিরাপত্তা শঙ্কা এড়াতে নানা পদক্ষেপ ও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। চামড়া সন্ত্রাস ও পশুর হাটে চাঁদাবাজিসহ সবধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াতে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে টহল বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কন্ট্রোল রুম, থানা কিংবা ৯৯৯-এর সহযোগিতা নিতেও নাগরিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও ঈদ মৌসুমের কারণে কিছু কিছু অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মলম ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায় এ সময়ে। এছাড়া সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্তরা নাশকতা চালানোরও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য সাদা পোশাকে এবং ভার্চুয়ালি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সারাদেশের সব পুলিশ ইউনিটগুলোকে টহল বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে যেন কোনও ধরনের চাঁদাবাজি না হয়, সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ কোনও দোকান বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, পশুর হাটে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে সব কিছু লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এজন্য হাটের ইজারাদাররা হাটে শুধুমাত্র স্থায়ী খাবার দোকান ও চায়ের দোকান বসাতে পারবেন। যিনি স্থায়ী খাবার দোকান দেবেন তার বিস্তারিত পরিচয় থানায় জমা দিতে হবে ইজারাদারকে। যাতে যেকোনও অঘটনের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের জন্য সুবিধা হয়।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে ইতোমধ্যে সারাদেশের সব ইউনিটকে ঈদের আগে-পরে এবং ঈদের ছুটিতে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে কোনও প্রকার সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, জোর জবরদস্তি না হয় সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।